রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০০৯

দক্ষিন-পশ্চিমের চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ করার আহবান জানালেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

এতোদিন চরমপন্থিরা এমন মওকাই খুজছিলেন। ক্রসফায়ার আর এনকাউন্টারের ভয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আকাংখা জানিয়ে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। তারা মিডিয়াম্যান ও রাজনীতিবিদদের নিকট স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা বলে আসছে। অবশ্য এ জন্য তারা সাধারন ক্ষমার দাবিও জানাচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, আত্মসমর্পণ করলে তাদের স্বাগত জানানো হবে। তবে তাদের সাধারন ক্ষমার বিষয়টি স্পষ্ট করে কিছু না বলায় জটিলতা থেকেই গেল। এখন দেখার বিষয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ আহবানে চরমপন্থিরা কেমন সাড়া দেয়। আর সরকারই তাদের প্রতি কতটুকু আন্তরিক হয়।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, আমি তাদের দ্রুত সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানাই। পুরনো ঢাকার চকবাজার থানার উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শামসুল হক বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থী সন্ত্রাস অনেকদিন আগে থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আত্মসমর্পণ করলে চরমপন্থীদের সাধারণ ক্ষমা করা হবে কী না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওরা (সন্ত্রাসীরা) আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিলে আমরা ভেবে দেখবো সাধারণ ক্ষমা করা যায় কী না।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত আমলে (১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল) একবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন তাদের সাধারণ ক্ষমাও ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে আওয়ামী লীগের আশ্বাস বাস্তবায়নের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শামসুল পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনাকে কোনও সাপ ফণা তুলে কাটতে উদ্যত হলে আপনি হাতের লাঠি ফেলে দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না, সাপকে আঘাত করবেন? বর্তমান সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না বলে দাবি করে তিনি বলেন, এটা আমাদের সংবিধানেও নেই।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া জেলাতেই গত পাঁচ দিনে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ধরনের ঘটনাকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছে।
প্রতিমন্ত্রী পুলিশকে আরও দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।
চকবাজার থানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম শহীদুল হক প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই: