সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০০৯

কুমারখালীতে কাটা মাথা পাবার একদিন পর দেহ উদ্ধার


কুমারখালীর কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের পাশে চড়াইকোল পশু হাটে যে কাটা মাথা পাওয়া গিয়েছিল তার দেহের সন্ধানও পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে মাথা উদ্ধারের স্থান থেকে ৪ কিলোমিটার দুরে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বেলগাছী মাঠে একটি ধানের ক্ষেত থেকে মাথাছাড়া দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় কৃষকরা দেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে। নিহতের নাম খাইরুল(৩০)। সে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামের দিদার আলীর ছেলে। বিভিন্ন পত্রিকা টিভি চ্যানেলে মাথা উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহতের বোনজামাই রবিউল থানায় এসে ছবি দেখে খাইরুলের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। পরে দেহ উদ্ধার হলে পোশাক দেখে তারা নিশ্চিত করে এটি খাইরুলের দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। রোববার পরিচয় না পেয়ে কাটা মাথার ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমানের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। নিহতের পরিবার পরিজনকে এখন মাথাবিহীন দেহ নিয়ে দাফন করতে হবে। নিহতের বোনজামাই রবিউল জানান, ৭দিন আগে খাইরুল বাড়ি থেকে পাবনার উদ্যেশ্যে বের হয়। দুইদিন আগে সে পাংশা আছে জানিয়ে ফোন করে বলে আধাঘন্টার মধ্যে বাড়ি আসছি। কিন্তু এরপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। রবিউল বলেন, তার কুটুম একজন সাধারন মানের চামড়া ব্যবসায়ী। এলাকা থেকে গরু ছাগলের চামড়া কিনে সে কুষ্টিয়ার চামড়া মোকামে বিক্রি করতো। তাকে কেন এরকম নির্মম পরিনতির শিকার হতে হলো তা বুঝতে না পেরে হতবাক খাইরুলের পরিবার পরিজন।
রোববার সকালে পথ চলতি মানুষ কুমারখালীর কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের পাশে চড়াইকোল পশু হাটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি মাথা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। কুমারখালী থানা পুলিশ ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাটামাথাটি উদ্ধার করে। মাথার পাশে একটি বাজার করা প্লাষ্টিক ব্যাগ ও একটি সাদা রঙের রক্তমাখা শার্ট পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাঠর মধ্যে হত্যা করে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মাথিাটি একটি ব্যাগে করে ওইস্থানে রেখে গেছে কোন সন্ত্রাসী গ্র“প। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আগেভাগেই কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, কাটা মাথার পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। যাতে লেখা ছিল ‘জাসদ লাল বাহিনী ০১১৯৯১৯১০৮৯’। কিন্তু ওই মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ১০ আগষ্ঠ কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ অফিসের গেটে পাওয়া যায় তিনটি কাটা মাথা। পরে ১৭ কিলোমিটর দুরে সোনাইডাঙ্গা গ্রামের মাঠে মাথা তিনটির খন্ডিত দেহ পাওয়া যায়। গত ২৮জুন সকালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পাওয়া যায় চরমপন্থি ক্যাডার লিটনের কাটা মাথা। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লেকের ভেতর থেকে মাথা বিহিন অজ্ঞাত গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই: