বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০০৯

কুষ্টিয়ার হরিপুরে পুলিশ-র‌্যাবের ব্যাপক তল্লাশ, গ্রেফতার-২

কুষ্টিয়ার হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে বুধবার রাতভর তল্লাশ করেছে শতাধিক পুলিশ ও র‌্যাবের বিশাল বাহিনী। ২৫ আগষ্ট পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাবলুর অস্ত্রভান্ডার ও সহযোগিদের গ্রেফতারের উদ্যোশ্যে এ সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। একযোগে এতো পুলিশ ফোর্স নিয়ে বিশেষ এ অভিযান নিকট অতীতে দেখা যায়নি। পুলিশ ও র‌্যাব সারারাত বাড়ি বাড়ি তল্লাশ করে। বিশেষ করে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন মাসুদের বাড়িতেও ব্যাপক তল্লাশী করা হয়। অভিযোগ রয়েছে নিহত ডাবলু মাসুদ চেয়ারম্যানের অন্যতম কর্মি ছিল। তার অস্ত্র’র সন্ধান পাওয়া যেতে পারে এ আশায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশ করে। এলাকার অনেকেই মন্তব্য করেছেন, চেয়ারম্যানের নিকট যদি কিছু থেকে থাকে ডাবলু পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবার পরপরই তা সরিয়ে ফেলে। ভোররাত পর্যন্ত এ অভিযানে কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। গ্রেফতার হয়েছে দুজন। এরা হলেন, মাসুদ চেয়ারম্যানের আরেক ঘনিষ্ট বাউই ও জহুরুল। বাউই’র পিতার নাম ফেরত আলী ও জহুরুলের পিতার নাম পলান। নিহত ডাবলুর বড় কুটুম হওয়ায় জহুরুলকে আটক করা হয় পরে কোন অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বাউই’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। একাধিক মামলাও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ যাবার খবর আগেই পৌছে যাওয়ায় অভিযানে বড় কোন সফলতা আসেনি। হরিপুর ইউনিয়নে অবস্থানকারি চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা নদী ঘাটে সোর্স বসানো আছে। আইন পয়োগকারি সংস্থার লোক নদী পার হলেই খবর পৌছে যায়।

কোন মন্তব্য নেই: